ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি খবর না দিয়েই হঠাৎ এফডিসিতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের ভিজিট ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা মিলবে ঢাকায় বাণিজ্য বন্ধ করলে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না ভারত: গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দিল্লির ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে সাবেক এমপি ও মন্ত্রীদের উপস্থিতি ২০০৭ সালের আগে জন্ম নিলে ভোটার হওয়ার আহ্বান ইসির ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিএনপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ মাগুরায় থানার সামনেও দুর্ধর্ষ চুরি দুদক ও বিচার বিভাগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আইন উপদেষ্টা বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু দোয়ারাবাজারে পরিত্যক্ত ঘর থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার মুরাদনগরে শ্রেণি কক্ষ না থাকায় খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • ঢাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিভিন্ন দেয়ালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নিয়ে দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে স্লোগান দেন। পরে জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, জসীম উদ্দীন হল, সূর্যসেন হল, মুহসীন হলসহ অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসে যুক্ত হন এবং মুহূর্তেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে “লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, একাত্তর হলে হবে না”; “টু জিরো টু ফোর, লেজুড়বৃত্তি নো মোর”; “লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না”; “স্টুডেন্ট পলিটিক্স, নো মোর নো মোর” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ছাত্রলীগের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হল প্রভোস্টের কাছে হলের অভ্যন্তরে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে নিশ্চয়তা নিয়েছিলেন।

তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো পোস্টারগুলো আবাসিক হলকে পার্টি অফিসের মতো পরিবেশ তৈরি করেছে, যা হলে রাজনীতির প্রবেশের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা দলীয় রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট, কিন্তু হলে রাজনীতি থাকবে না এ বিষয়ে তারা পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছেন।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, দলীয় ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে প্রথমে অবস্থান নেন বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা, পরে আশেপাশের সব হলের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

ছাত্রদলের এমন কার্যক্রম ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে ক্ষুণ্ন করছে এবং পুরনো ধারার দখলদারীত্বের বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসিক হলে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির কোনো স্থান চান না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

IRIDP-3 প্রকল্পে সহকারী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ

এলজিইডি সংশ্লিষ্ট কেউ অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ,প্রধান প্রকৌশলী রুটিন দায়িত্ব ,এলজিইডি

খবর না দিয়েই হঠাৎ এফডিসিতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের ভিজিট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিভিন্ন দেয়ালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পোস্টার লাগানোর প্রতিবাদে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা হলের সামনে অবস্থান নিয়ে দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে স্লোগান দেন। পরে জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, জসীম উদ্দীন হল, সূর্যসেন হল, মুহসীন হলসহ অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসে যুক্ত হন এবং মুহূর্তেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস জুড়ে “লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, একাত্তর হলে হবে না”; “টু জিরো টু ফোর, লেজুড়বৃত্তি নো মোর”; “লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না”; “স্টুডেন্ট পলিটিক্স, নো মোর নো মোর” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ছাত্রলীগের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হল প্রভোস্টের কাছে হলের অভ্যন্তরে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে নিশ্চয়তা নিয়েছিলেন।

তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের দেয়ালে লাগানো পোস্টারগুলো আবাসিক হলকে পার্টি অফিসের মতো পরিবেশ তৈরি করেছে, যা হলে রাজনীতির প্রবেশের চেষ্টা হিসেবে দেখছেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা দলীয় রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিনেট-সিন্ডিকেট, কিন্তু হলে রাজনীতি থাকবে না এ বিষয়ে তারা পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছেন।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন বলেন, দলীয় ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে প্রথমে অবস্থান নেন বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা, পরে আশেপাশের সব হলের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

ছাত্রদলের এমন কার্যক্রম ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে ক্ষুণ্ন করছে এবং পুরনো ধারার দখলদারীত্বের বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসিক হলে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির কোনো স্থান চান না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।