মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বিচার চেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার সদর থানা ঘেরাও করার ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটিকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে শুক্রবার (০৭ মার্চ) জুম্মা নামাজের পর ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে জড়ো হতে থাকে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর চৌরঙ্গী মোড় হয়ে ভাইনার মোড়ে সমবেত হয়।সেখানে এক ঘন্টা রাস্তায় চলাচলরত সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ জানাতে থাকে।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল নিয়ে মাগুরা সদর থানায় এসে মিলিত হয়। থানার প্রধান গেট বন্ধ থাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেটটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। থানার মধ্যে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে বুঝিয়ে নিভৃত করার চেষ্টা করে। তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হলে কিছুক্ষণ পরেই সেনাবাহিনী এসে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আন্দোলনকারীরা রাস্তার চারদিক দিয়ে অবস্থান নেয়। এই ঘটনায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। বন্ধ ছিল সমস্ত দোকানপাট। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বাংলাদেশ সময়কে বলেন, “গত বৃহস্পতিবার শিশুটির বড় বোনের অভিযোগ অনুসারে তার শ্বশুর হিটু শেখকে শহরের নীজনান্দুয়ালী নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এরপর শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে শিশুটির দুলাভাই সজীব শেখকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী শিশুটি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা বিচার যেন নিজেরাই হাতে তুলে নিতে চায়।”
বিক্ষুব্ধ জনতা থানারগেট ভেঙে ফেলার চেষ্টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুইজন আসামিকে আটক করেছি। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখন আমরা ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। তার আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা থানার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ মিলে সেটাকে নিভৃত করেছে। এই ঘটনাই যারা জড়িত অবশ্যই তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।”