যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, যা বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। দুই দেশই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধের মাত্রা বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে সামরিক প্রস্তুতিও বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সম্প্রতি বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, চীন সামরিক প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়াবে, যাতে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করা যায়। চীন চলতি বছর সামরিক বাজেট ৭.২ শতাংশ বাড়িয়ে ২৪৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় তিন গুণ কম হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত খরচ আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, যারা শান্তি চায়, তাদের যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়।
বাণিজ্য নিয়েও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছে, যার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনও মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। চীন ইতোমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধ এবং সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের বৈশ্বিক সংকট তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে, তবে বর্তমান পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।