ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত সময়ে উন্নয়ন কাজ শেষ করার নির্দেশ এলজিইডির

বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে লোকাল গর্ভমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স ও রিকভারি (এলজিসিআরআরপি) প্রকল্পের আওতায় দেশের পৌরসভা ও নগর উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও স্বাস্থ্যকর নগর গঠনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এলজিসিআরআরপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নাজমুস সাদাত মো. জিল্লুর রহমান জানান, কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহতার কারণে দেশের শহরাঞ্চলে প্রায় ২৭ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার মধ্যে লাখো উপার্জনকারী ব্যক্তি কর্মহীন হয়ে পড়ে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং ভবিষ্যতে মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে বিশ্ব ব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তায় প্রকল্পটি ২০২২ সালে শুরু হয়।

প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০টি মহানগর ও ৩২৯টি পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষভাবে, শ্রম-ঘন গণপূর্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে ১০ হাজার দুস্থ নারীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।

নাজমুস সাদাত মো. জিল্লুর রহমান জানান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়ার নির্দেশনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত সময়ে উন্নয়ন কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে, যাতে গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বিশ্ব ব্যাংক এলজিইডির উন্নয়ন কার্যক্রমে সন্তুষ্ট থাকায় ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের অর্থায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কিছু প্রকল্পে জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও স্থানীয় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এলজিসিআরআরপি প্রকল্পের অধীনে নেওয়া সব উন্নয়ন কার্যক্রম যথাসময়ে ও নির্ধারিত মান বজায় রেখে সম্পন্ন করতে এলজিইডি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের নগর অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত সময়ে উন্নয়ন কাজ শেষ করার নির্দেশ এলজিইডির

আপডেট সময় ০১:৪৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে লোকাল গর্ভমেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স ও রিকভারি (এলজিসিআরআরপি) প্রকল্পের আওতায় দেশের পৌরসভা ও নগর উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও স্বাস্থ্যকর নগর গঠনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এলজিসিআরআরপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নাজমুস সাদাত মো. জিল্লুর রহমান জানান, কোভিড-১৯ মহামারির ভয়াবহতার কারণে দেশের শহরাঞ্চলে প্রায় ২৭ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার মধ্যে লাখো উপার্জনকারী ব্যক্তি কর্মহীন হয়ে পড়ে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং ভবিষ্যতে মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে বিশ্ব ব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তায় প্রকল্পটি ২০২২ সালে শুরু হয়।

প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০টি মহানগর ও ৩২৯টি পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিতকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষভাবে, শ্রম-ঘন গণপূর্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে ১০ হাজার দুস্থ নারীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।

নাজমুস সাদাত মো. জিল্লুর রহমান জানান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়ার নির্দেশনায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত সময়ে উন্নয়ন কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে, যাতে গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বিশ্ব ব্যাংক এলজিইডির উন্নয়ন কার্যক্রমে সন্তুষ্ট থাকায় ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের অর্থায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কিছু প্রকল্পে জমি সংক্রান্ত জটিলতা ও স্থানীয় বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এলজিসিআরআরপি প্রকল্পের অধীনে নেওয়া সব উন্নয়ন কার্যক্রম যথাসময়ে ও নির্ধারিত মান বজায় রেখে সম্পন্ন করতে এলজিইডি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের নগর অবকাঠামো উন্নয়নে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।