পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠী গ্রামে দিনে দুপুরে শিক্ষক দম্পত্তির বাসায় ঢুকে শেফালি বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সুটিয়াকাঠি গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে শিক্ষক মো. এনামুল হক বাদল এর বাসায় ওই দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ওই শিক্ষক দম্পত্তি কেহ বাসায় ছিলনা। শেফালী বেগম মৃত সোবাহান মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের ছেলে এনামুল হক জানান, ঘটনার সময় আমরা স্কুলে ছিলাম। আমার ছেলে তাহছিন (১০) মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। সে দুপুর ১টার দিকে ঘরে ঢুকে তার দাদীকে অচেতন অবস্থায় দেখে অনেক ডাকাডাকি করে। পরে ছেলে স্কুলে এসে আমাকে জানালে আমি বাসায় আসি। এসে দেখতে পাই, মায়ের গলা, হাত-পা ও মুখ বাধা। এ সময় বাসার সব কিছু তচনছ দেখতে পেয়ে ঘরের আলমারির কাছে দেখি আলমারি ভাঙা।
পরে প্রতিবেশিদের সহায়তায় স্থানীয় জাহানারা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি ডাকাতি করতে এসে শেফালি বেগমকে হত্যার পর বাসায় থাকা নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ ৭-৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
সুটিয়াকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন অসিম জানান, এনামুল হক এবং তার স্ত্রী পৃথক পৃথক স্কুলে চাকরি করেন। ঘটনার সময় তারা উভয়ে স্কুলে ছিলেন। এমনকি তার দশ বছরের একটি ছেলে স্কুলে গিয়েছিল। শুনেছি তার বাসায় কে বা কারা যেন প্রবেশ করে ঘরে থাকা এনামুলের মায়ের হাত, মুখ ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে মেরে ঘরে থাকা টাকা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য মো. বছিদ তালুকদার জানান, তাদের দুইতলা একটি দালান ঘর। যাহার নিচ তলা কমপ্লিট হয়নি। দ্বিতীয় তালায় তারা থাকতেন। দুপুরে এনামুলের ঘরে র্দুবৃত্তরা ডুকে তার মাকে মেরে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. বনি আমীন জানান, “আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এটা ডাকাতি না অন্য কিছু তা এখনো বলা যাচ্ছে না, তদন্ত চলছে।