ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জে ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু, শোকের ছায়া পুরো বাবুগঞ্জে শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত আবরার ফাহাদ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত করা হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতা ও মুক্ত চিন্তার প্রতীক হিসেবে তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক প্রদান করা হয়।

সোমবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আবরার ফাহাদ শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ন্যায়বিচারের পথের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার।’

এদিকে, আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দাবি করেছেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছেন। ফাইয়াজ লেখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজকে, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেনি তখন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাঁসির আসামি তো কনডেম সেলে থাকার কথা, সে পালাল কীভাবে? পালানোর পরেও এ তথ্য এতদিন বাইরে না আসার অর্থ, তাকে ধরতে কোনো চেষ্টা করা হয়নি।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের বাবুগঞ্জে ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু, শোকের ছায়া পুরো বাবুগঞ্জে

Verified by MonsterInsights

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত আবরার ফাহাদ

আপডেট সময় ০২:৫৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত করা হয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতা ও মুক্ত চিন্তার প্রতীক হিসেবে তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক প্রদান করা হয়।

সোমবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।

পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আবরার ফাহাদ শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি ন্যায়বিচারের পথের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার।’

এদিকে, আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দাবি করেছেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছেন। ফাইয়াজ লেখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে গত বছরের ৫ আগস্টের পরে। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজকে, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেনি তখন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফাঁসির আসামি তো কনডেম সেলে থাকার কথা, সে পালাল কীভাবে? পালানোর পরেও এ তথ্য এতদিন বাইরে না আসার অর্থ, তাকে ধরতে কোনো চেষ্টা করা হয়নি।’

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।