ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার লালপুরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ আহত ১০, আশঙ্কাজনক ১ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার বগুড়ায় করতোয়া নদীর ধারে মুখ ঝলসানো অর্ধগলিত লাশ পিরিজপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: অভিযুক্ত বিএনপি নেতার ছেলে লালপুরে আইনজীবীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩জন আহত বগুড়ায় ‘লাশ উত্তোলনের নামে’ প্রতারণা, তিন ভাই গ্রেপ্তার সিংড়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা সুনামগঞ্জের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপনের জন্য ৬দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পাংশায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা কাবিখা প্রকল্পে কাগজে কলমে উন্নয়ন, মাঠে দুর্নীতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সেমিনার ও ফ্রি স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ

আজ ৩ মার্চ, বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব অপরিসীম হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড় এবং নগরায়ণের কারণে এসব প্রাণী আজ বিলুপ্তির হুমকির মুখে। মানুষের অসচেতনতা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রকৃতি থেকে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী। এ বছরের বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—’বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’।

বন উজাড়, আবাসস্থলের সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি বন্যপ্রাণীদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অহরহ দেখা মিললেও, এখন অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে উপকূলীয় বনাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় এসব প্রাণীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। পাখি শিকার, বন ধ্বংস এবং খাদ্যের অভাবও বন্যপ্রাণীদের সংকট আরও ঘনীভূত করেছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির হার গত ১০ লাখ বছরের তুলনায় অন্তত ১০ থেকে ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা ও আমাজনের বন উজাড়ের হার বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপর্যস্ত হচ্ছে। গবেষণা বলছে, ইতোমধ্যে আমাজনের মূল বনভূমির ১৭ শতাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, অন্য ১৭ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

বাংলাদেশের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ৩১টি। এছাড়া দেশজুড়ে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি প্রজাতির প্রাণী থাকলেও এর মধ্যে ৩৯০টি ইতোমধ্যে একেবারে শেষ হওয়ার পথে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপকূলীয় বন বিভাগ) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আধুনিক নগরায়ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমছে। আমরা বন উজাড় রোধে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি, তবে সচেতনতা ছাড়া এসব প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালন শুরু হয়। মূলত পৃথিবীর বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের সংরক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এ দিবসের মূল লক্ষ্য।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র নিখোঁজের নয়দিন পর পরিত্যক্ত ডোবায় লাশ উদ্ধার

Verified by MonsterInsights

বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ

আপডেট সময় ১২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

আজ ৩ মার্চ, বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব অপরিসীম হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড় এবং নগরায়ণের কারণে এসব প্রাণী আজ বিলুপ্তির হুমকির মুখে। মানুষের অসচেতনতা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রকৃতি থেকে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী। এ বছরের বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—’বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অর্থায়ন, মানুষ ও ধরিত্রীর উন্নয়ন’।

বন উজাড়, আবাসস্থলের সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি বন্যপ্রাণীদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এক সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অহরহ দেখা মিললেও, এখন অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। বিশেষ করে উপকূলীয় বনাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় এসব প্রাণীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। পাখি শিকার, বন ধ্বংস এবং খাদ্যের অভাবও বন্যপ্রাণীদের সংকট আরও ঘনীভূত করেছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির হার গত ১০ লাখ বছরের তুলনায় অন্তত ১০ থেকে ১০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা ও আমাজনের বন উজাড়ের হার বৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপর্যস্ত হচ্ছে। গবেষণা বলছে, ইতোমধ্যে আমাজনের মূল বনভূমির ১৭ শতাংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, অন্য ১৭ শতাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

বাংলাদেশের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রাণীর সংখ্যা প্রায় ৩১টি। এছাড়া দেশজুড়ে ১ হাজার ৬০০-এর বেশি প্রজাতির প্রাণী থাকলেও এর মধ্যে ৩৯০টি ইতোমধ্যে একেবারে শেষ হওয়ার পথে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপকূলীয় বন বিভাগ) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আধুনিক নগরায়ণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আশঙ্কাজনকভাবে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমছে। আমরা বন উজাড় রোধে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি, তবে সচেতনতা ছাড়া এসব প্রাণী রক্ষা করা সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী এ দিবস পালন শুরু হয়। মূলত পৃথিবীর বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের সংরক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এ দিবসের মূল লক্ষ্য।