ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খানের অনুসারীদের নেতৃত্বে ছিল সাংকেতিক নাম

কচুরিপানা পরিষ্কারে প্রাণ ফিরলো গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালে

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি খাল ছিল কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি। এতে ভোগান্তিতে পরেছিল গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কারণ ঐ খালপাড়ের আশেপাশে রয়েছে অন্তত ১০টি মসজিদ।

প্রায় ৪ বছর পর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি, শুরু হয়েছে খালের পানি প্রবাহ।

গত শনিবার (০১ মার্চ) থেকে রবিবার (০২ মার্চ) পর্যন্ত দুই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সাথে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধেছিল দীর্ঘদিন। তাই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরে খালটি। পানি কালো হওয়ায় গোসল করা দূরের কথা, আশপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও খালটি থেকে অজু করতে পারতো না। এছাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মহিলারা থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করতে পারতো না। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক মুসল্লিদের মাধ্যমে দূর্ভোগের কথা জানতে পেরে প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের নির্দেশ দেন।

গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালপাড়ের পাশ দিয়ে প্রায় দশটি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু খাল ব্যবহারের অনুপোযোগী থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নামাজ পড়তে কষ্ট হতো। তাই আমরা কয়েকজন পৌর প্রশাসকের কাছে মৌখিকভাবে জানাই। তিনি তখন প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। দুইদিনে খাল পরিষ্কার করে এখন পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর নামাজ পড়তে কষ্ট অনেক কমবে।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারতো না। কারণ কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিল। এখন পরিষ্কার হওয়ার পর খালটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ধোয়ার কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারছে।

টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মো. মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পেরে দুই দিনব্যাপী পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়। এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের মাধ্যমে খালটির পানি জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছে। জনসেবায় উপজেলা প্রশাসনের এমন কাজ অব্যাহত থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

Verified by MonsterInsights

কচুরিপানা পরিষ্কারে প্রাণ ফিরলো গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালে

আপডেট সময় ০৬:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে একটি খাল ছিল কচুরিপানা ও আবর্জনায় ভর্তি। এতে ভোগান্তিতে পরেছিল গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মানুষ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কারণ ঐ খালপাড়ের আশেপাশে রয়েছে অন্তত ১০টি মসজিদ।

প্রায় ৪ বছর পর কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি, শুরু হয়েছে খালের পানি প্রবাহ।

গত শনিবার (০১ মার্চ) থেকে রবিবার (০২ মার্চ) পর্যন্ত দুই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কার করে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটির সাথে বাঘিয়ার নদীর সংযোগ রয়েছে। নদী থেকে কচুরিপানা ও আবর্জনা খালে ঢুকে জমাট বেঁধেছিল দীর্ঘদিন। তাই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পরে খালটি। পানি কালো হওয়ায় গোসল করা দূরের কথা, আশপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও খালটি থেকে অজু করতে পারতো না। এছাড়া খালপাড়ের কয়েক গ্রামের মহিলারা থালা-বাসন ধোয়ার কাজ করতে পারতো না। পরে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার প্রশাসক মো. মঈনুল হক মুসল্লিদের মাধ্যমে দূর্ভোগের কথা জানতে পেরে প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের নির্দেশ দেন।

গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী লিটু শেখ ও টুঙ্গিপাড়া গ্রামের ছালু কাজী বলেন, খালপাড়ের পাশ দিয়ে প্রায় দশটি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু খাল ব্যবহারের অনুপোযোগী থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নামাজ পড়তে কষ্ট হতো। তাই আমরা কয়েকজন পৌর প্রশাসকের কাছে মৌখিকভাবে জানাই। তিনি তখন প্রথম রোজার মধ্যে খাল পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। দুইদিনে খাল পরিষ্কার করে এখন পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। এখন থেকে আর নামাজ পড়তে কষ্ট অনেক কমবে।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিমেল কাজী বলেন, খালের দুই পাশ সুন্দরভাবে বাঁধাই করা থাকলেও খালের পানি কেউই ব্যবহার করতে পারতো না। কারণ কচুরিপানা ও আবর্জনা খালটির সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছিল। এখন পরিষ্কার হওয়ার পর খালটি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। খালপাড়ের বাসিন্দারা ধোয়ার কাজের পাশাপাশি গোসল ও অজু করতে পারছে।

টুঙ্গিপাড়া পৌর প্রশাসক মো. মঈনুল হক বলেন, গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্থানীয় মুসল্লিদের মাধ্যমে জানতে পেরে দুই দিনব্যাপী পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়। এখন কচুরিপানা ও আবর্জনা পরিষ্কারের মাধ্যমে খালটির পানি জনগণ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারছে। জনসেবায় উপজেলা প্রশাসনের এমন কাজ অব্যাহত থাকবে।