এসেছে শরৎ। দুয়ারে কড়া নাড়ছে দেবী দুর্গার আগমণী বার্তা। আর মাত্র কয়েকটা দিন পর শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
মৌলভীবাজারে জেলার ৭টি উপজেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে সর্বমোট ৯৯৮টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহৎ শারদীয় দূর্গাপুজা। তবে বিগত বছর মন্ডপের সংখ্যা ছিলো এক হাজারের উপরে। এদিকে সনাতন ধর্মালম্বীদের এ উৎসবকে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে চলছে মায়ের বিভিন্ন থিম নিয়ে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুুতি। ইতোমধ্যে কিছু মন্ডপের রঙের কাজ শেষ হলেও কারিগরের স্বল্পতার কারনে অনেক জায়গায় মন্ডপগুলোতে প্রতিমার কাজ এখনো চলছে। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উতসব শারদীয় দূর্গাপুজার দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। আর মাত্র কয়েক দিন পর মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠবে ঢাক ঢোল আর শঙ্ক আর উলু ধ্বনির মধ্যে লক্ষ লক্ষ সনাতন ধর্মালম্বীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে মন্ডপ প্রাঙ্গন।
একসাথে এতোগুলো প্রতিমা তৈরির কারণে অনেক জায়গায়ই দেখা দিয়েছে কারিগরি স্বল্পতা। তবুও মন্দিরের সাজসজ্জা,ধোয়া-মোছা, তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। তাছাড়া মায়ের পুজো বলে কথা তাই যত কষ্ট বা পরিশ্রম হোক সময় মতো প্রতিমার কাজ শেষ করতে বিরামহীন ভাবে কাজ করছেন প্রতিমা কারিগররা। মৌলভীবাজার জেলা ৭টি উপজেলায় চলতি বছর ৯৯৮টি পুজা মন্ডপ রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা উৎসব পালনের জন্য সরকারের নির্দেশনার আলোকে জেলা ও উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটি সাথে বিভিন্ন স্তরে বৈঠকসহ মন্দিরগুলোর নিজেদের নানা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছেন।
প্রতিমা শিল্পীরা জানান, এ বছর একেকজন প্রতিমা শিল্পীরা ১২ থেকে ৮টি করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। প্রতিমা শিল্পী নিরধ আচার্য জানান, পূজা শুরুর দিন পর্যন্ত রং এর কাজ করতে হবে তাদের। এখন প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হলেও বাকি রঙতুলির কাজ।
এ বছর তা অনেক কমে গেছে। আর আমাদের পরিশ্রম বেড়ে গেছে। এখন তারকাঁটা থেকে শুরু করে বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়ের দাম অনেক বাড়তি। তবে এবার প্রতিমা গড়ার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কারিগরদের খরচ বেড়ে গেছে। যে কারণে তাদের তেমন লাভ থাকবে না বলে জানান তারা। খরচের তুলনায় দুর্গা প্রতিমার মায়ের প্রণামী পাচ্ছি না।
মৌলভীবাজার জেলা পুজা উদযাপন কমিঠির সভাপতি আশু রঞ্জন দাস বলেন পাঁচ দিনের বৃহৎ এই পুজাকে ঘিরে বড় মন্ডপগুলোতে দিন রাত মিলিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। প্রতিটি মন্ডপের ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। আশা রাখি আসন্ন দুর্গাপুজা শান্তিপুর্নভাবে সম্পন্ন হবে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন শারদীয় দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া মন্ডপগুলোতেও কঠোর নজরদারি থাকবে।