সীমান্তের বিজিবি বিএসএফ এর চোখ ফাঁকি দিয়ে যে চোরাচালানি হয় তার চেয়ে বড় চোরাচালানি হচ্ছে স্থল বন্দর বেনাপোলে সরাসরি বৈধ পথে ভারত থেকে চোরাচালানি পণ্য কাগজপত্র বিহীন এনে।
আমদানিকৃত পণ্য দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সরাসরি ট্রাকে করে চোরাচালানি পণ্য কাস্টমস ও বন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে পাচার করে আনছে এবং সরকারের কোটি কোটি টাকার শুল্ক ফাকি দিয়ে এসব চক্র পার সকল কর্মকর্তা এবং পথে পথে যেসব জায়গায় চেকিং হয় সব ম্যানেজ করে চলে যাচ্ছে গন্তব্য স্থানে।
এরকম বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে কাগজপত্রবিহীন ভারতীয় শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজ ফেব্রিক্সের একটি চালান আটক করেছে কাষ্টমস কর্তৃপ। পণ্য চালানটি গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাষ্টমসের উপ কমিশনার অথেলো চোধুরী।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, কোন এক অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজ ফেব্রিক্সের একটি চালান ভারত থেকে এনে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে রেখেছে। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল কাষ্টমস কমিশরারসহ একটি টিম বন্দরের ১৭ নম্বর শেডে অভিযান চালিয়ে পণ্য চালানটি আটক করা হয়। যার ওজন ১৭ হাজার কেজি। পণ্য চালানটির শুল্ককরসহ মোট মুল্য প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে কে বা কারা এর সাথে জড়িত রয়েছে ও এর মালিক কে তার সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, আমদানিকৃত কোন পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো আটক করতেই হবে। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে বেনাপোল বন্দরের ১৭ নম্বর শেড থেকে একটি কাগজপত্র বিহীন ৭০ পিচ শাড়িসহ ৪৮৫ প্যাকেজের ফেব্রিক্সের চালান আটক করা হয়েছে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কাউকে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।