পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানা নামক এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা হয়েছে। নিহত শিক্ষক খাগড়াছড়ির টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। এই ঘটনার জেরে পাহাড়ি ও বাঙালিরা খাগড়াছড়ি সদরে মুখোমুখি অবস্থান নেন। দুই পক্ষই পৃথক মিছিল বের করে। সদরের মহাজনপাড়ার কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর পাহাড়ি–বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত হয়। পরে জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়। পরবর্তীতে সোহেল রানা সেই মামলায় খালাস পান এবং চাকরিতে পুনরায় যোগ দেন।
সোহেল রানা চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে পাহাড়ি ছাত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল। আজ মঙ্গলবার আরেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির করার অভিযোগ তুলে একদল শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ করতে থাকে। দুপুরে সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
তিনি জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।