ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই মাত্র পাওয়াঃ
ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু শ্রীমঙ্গল উপজেলা, পৌর ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বেনাপোলে দরিদ্র ও পথচারীদের ইফতার বিতরণ মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লোকসান, ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত কৃষক ফিলিস্তিনে নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান শিক্ষাজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইফতার সামগ্রী বিতরণ করল এপেক্স ক্লাব অব লামা কমলগঞ্জে যুবদলের ইফতার বিতরণ মৌলভীবাজারের রাজনগরে ডিবি পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যাকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়: প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে হাসনাতের সাথেই আমরা
পর্ব -১

খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের ঘুষ দুর্নীতি ও টেম্পারিংয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

বা দিক থেকে আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়

খুলনা জোনাল অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদের নিকট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ কাজসহ অন্যান্য কাজ থাকায় অত্যন্ত সুকৌশলে সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বা সরকারি সম্পত্তি কোনো প্রকার আপীল বা কেস ছাড়াই বিভিন্ন নামে এবং জমির শ্রেণির পরিবর্তনসহ নানান কাজ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে করিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা বুঝে নিচ্ছে। এবারের পর্বে রয়েছে সেই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার জেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায় ডিপি ৩৭নং খতিয়ানে ২নং কলামে হিশ্যা বা অংশ টেম্পারিং করে হাল দাগ ৭৪৯০ দাগটি কোনো কেস ছাড়াই ছাড়াই ১/১ সরকারি খতিয়ান হতে ২.৯৫ শতক জমি ঐ মৌজার শান্তি রামের পুত্র অতুল কৃষ্ণ সরদার ও অভিলাস সরদারের নামীয় ৩৭নং ডিপি খতিয়ানে রেকর্ড করিয়ে দেয়।

ডিপি ১২০নং খতিয়ানের ২নং কলমে হিশ্যা বা অংশ আপীল কোনো কেস ছাড়াই নিরঞ্জনের পুত্র অরবিন্দুকে দেওয়া হয় জোতিন্দ্রনাথের পুত্র বিমলের অংশ।

ডিপি ১৫৮ খতিয়ানের ২নং কলমে স্বামী আজগার থেকে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের নামে কেস ছাড়াই অংশ সংশোধন করে দেয়।

ডিপি ২২৯ খতিয়ানে ৮৩৯২ হাল দাগটি ৩০ ধারায় আপত্তি কেসে কাটা যায়, কিন্তু সুকৌশলে ১৬৫৬৫/০৩ এই সালে আপীল হইলেও তামিল ১৯৯৯ দেখানো হয়। এই টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে বহু টাকার বিনিময়ে রেকর্ড করিয়ে দেয় মাদার গাজীর পুত্র দাউদ গাজীকে হাল দাগ ৮৪৩৭/৮৩৯২/৮৩৭৪ দাগে জমি অধৈক রেকর্ড করিয়ে দেয়।

ডিপি খতিয়ান ২৪৩/১ খতিয়ানের মালিক আব্দুল আজিজ, বারেক উভয়ের পিতা হানিফ শেখ ৮২৯৮ হাল দাগটি কোনো কেস ছাড়াই আব্দুল আজিজ, আব্দুল বারেক এর নামে সরকারী ১৭ শতক ভূমি টেম্পারিংয়ের মাধ্যম রেকর্ড করিয়ে দেন।

ডিপি ২৮৭ নং খতিয়ানে হাল ৪০১১ দাগের খাল শ্রেণির জমিটি বাহার আলীর পুত্র গফফারের নামে বিলান শ্রেণি রুপান্তর করিয়ে দেন টেম্পারিংয়ের মাধ্যম।

আব্দুর রশিদ সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা হয়ে আলাউদ্দিন প্রদ্বীপ দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকের জমি কখনো নয় আবার কখনো ছয় এই খেলা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আরো অধিকতর তথ্যানুসন্ধানে বের হয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ঐ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণকে এই খেলা দেখানোর সহযোগিতায় রয়েছেন খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় বাবু সুজিত রায়, পিওন আব্দুর রহিম এবং অফিসার আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আব্দুর রশিদ শ্যামনগর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে “ড্রাসম্যান” হিসেবে চাকুরীকালিন সময়ে সে বিভিন্ন ভূমি মালিকদের দাম্ভিকগতার সাথে বলতেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা তার নিকট আত্মীয়। তার বিষয় কোনো কিছু করেও লাভ নেই। অধিদপ্তরে তার নিজস্ব লোক আছে।”

ঐ অফিসের বড় বাবু খ্যাত সুজিত রায়ের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় হওয়ায়, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা নিবাসী সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্রকে নিজের নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন।

জানা যায়, কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের ঘুষ দুনীতি ও টেম্পারিংয়ের বিষয়ে নানান অভিযোগ দুদকসহ একাধিক দপ্তরে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে বের হয়ে আসবে থলের বিড়াল, এমনটি অভিযোগ মুন্সিগঞ্জ মৌজার ভূমি মালিকদের।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে এসে বড় বোনের মৃত্যু

Verified by MonsterInsights

পর্ব -১

খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের আব্দুর রশিদ ও সুজিত রায়ের ঘুষ দুর্নীতি ও টেম্পারিংয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

আপডেট সময় ১০:১৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

খুলনা জোনাল অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রশিদের নিকট সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজার যাঁচ কাজসহ অন্যান্য কাজ থাকায় অত্যন্ত সুকৌশলে সাধারণ ভূমি মালিকদের জমি বা সরকারি সম্পত্তি কোনো প্রকার আপীল বা কেস ছাড়াই বিভিন্ন নামে এবং জমির শ্রেণির পরিবর্তনসহ নানান কাজ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে করিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা বুঝে নিচ্ছে। এবারের পর্বে রয়েছে সেই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার জেলার মুন্সিগঞ্জ মৌজায় ডিপি ৩৭নং খতিয়ানে ২নং কলামে হিশ্যা বা অংশ টেম্পারিং করে হাল দাগ ৭৪৯০ দাগটি কোনো কেস ছাড়াই ছাড়াই ১/১ সরকারি খতিয়ান হতে ২.৯৫ শতক জমি ঐ মৌজার শান্তি রামের পুত্র অতুল কৃষ্ণ সরদার ও অভিলাস সরদারের নামীয় ৩৭নং ডিপি খতিয়ানে রেকর্ড করিয়ে দেয়।

ডিপি ১২০নং খতিয়ানের ২নং কলমে হিশ্যা বা অংশ আপীল কোনো কেস ছাড়াই নিরঞ্জনের পুত্র অরবিন্দুকে দেওয়া হয় জোতিন্দ্রনাথের পুত্র বিমলের অংশ।

ডিপি ১৫৮ খতিয়ানের ২নং কলমে স্বামী আজগার থেকে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের নামে কেস ছাড়াই অংশ সংশোধন করে দেয়।

ডিপি ২২৯ খতিয়ানে ৮৩৯২ হাল দাগটি ৩০ ধারায় আপত্তি কেসে কাটা যায়, কিন্তু সুকৌশলে ১৬৫৬৫/০৩ এই সালে আপীল হইলেও তামিল ১৯৯৯ দেখানো হয়। এই টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে বহু টাকার বিনিময়ে রেকর্ড করিয়ে দেয় মাদার গাজীর পুত্র দাউদ গাজীকে হাল দাগ ৮৪৩৭/৮৩৯২/৮৩৭৪ দাগে জমি অধৈক রেকর্ড করিয়ে দেয়।

ডিপি খতিয়ান ২৪৩/১ খতিয়ানের মালিক আব্দুল আজিজ, বারেক উভয়ের পিতা হানিফ শেখ ৮২৯৮ হাল দাগটি কোনো কেস ছাড়াই আব্দুল আজিজ, আব্দুল বারেক এর নামে সরকারী ১৭ শতক ভূমি টেম্পারিংয়ের মাধ্যম রেকর্ড করিয়ে দেন।

ডিপি ২৮৭ নং খতিয়ানে হাল ৪০১১ দাগের খাল শ্রেণির জমিটি বাহার আলীর পুত্র গফফারের নামে বিলান শ্রেণি রুপান্তর করিয়ে দেন টেম্পারিংয়ের মাধ্যম।

আব্দুর রশিদ সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা হয়ে আলাউদ্দিন প্রদ্বীপ দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকের জমি কখনো নয় আবার কখনো ছয় এই খেলা দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আরো অধিকতর তথ্যানুসন্ধানে বের হয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ঐ মৌজার সাধারণ ভূমি মালিকগণকে এই খেলা দেখানোর সহযোগিতায় রয়েছেন খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের বড় বাবু সুজিত রায়, পিওন আব্দুর রহিম এবং অফিসার আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত বহিরাগত দালাল আব্দুস সামাদ।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে আব্দুর রশিদ শ্যামনগর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে “ড্রাসম্যান” হিসেবে চাকুরীকালিন সময়ে সে বিভিন্ন ভূমি মালিকদের দাম্ভিকগতার সাথে বলতেন, “গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা তার নিকট আত্মীয়। তার বিষয় কোনো কিছু করেও লাভ নেই। অধিদপ্তরে তার নিজস্ব লোক আছে।”

ঐ অফিসের বড় বাবু খ্যাত সুজিত রায়ের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় হওয়ায়, খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা নিবাসী সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ চন্দ্রকে নিজের নিকট আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন।

জানা যায়, কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের ঘুষ দুনীতি ও টেম্পারিংয়ের বিষয়ে নানান অভিযোগ দুদকসহ একাধিক দপ্তরে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করলে বের হয়ে আসবে থলের বিড়াল, এমনটি অভিযোগ মুন্সিগঞ্জ মৌজার ভূমি মালিকদের।